রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৫২ অপরাহ্ন
পুলিশের হাতে আটক হোয়াইক্যং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা, বহু অপরাধের হুতা আব্দুল বাছেত কে ছাড়িয়ে নিতে জোর তদবির
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন নেতা, সাবেক ইউপি সদস্য, ১৬ বছর ধরে আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়ন কারী,বহু অপরাধের হুতা,ভূমি দস্যু আব্দুল বাচেত অবশেষে পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। আব্দুল বাচেত ওরপে বাচ্চু হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের উনছিপ্রাং মৃত আব্দুল হালিমের পুত্র।
বিগত ১৬ বছরে সাবেক এমপি আব্দুররহমান বদি,উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি নুরুল বশরের চামচা হিসাবে স্ত্রী, সন্তান সহ আরো ৩ ভাইয়ের নাম প্রচার আছে। বিগত ডামি নির্বাচনে আব্দুররহমান বদির পক্ষ হয়ে তার ছোটভাই আওয়ামীলীগ নেতা রুহুল আমিনের মার্কেটে ৪ ভাই যথাক্রমে আজিজুররহমান,কলিমুল্লাহ,আব্দুল বাচেত, রুহুল আমিনের নামে বিশাল তোরণ সহ আওয়ামীলীগের নির্বাচনী অফিস খুলে। যে খানে ৪ ভাইয়ের নামে নৌকা মার্কার ব্যানার শুভা পায়। আব্দুল বাচেত,রুহুল আমিন অপর আরো ২ ভাই ছিল উনছিপ্রাং ৩ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়ন কারী। বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে হোয়াইক্যং ইউপি চেয়ারম্যান, বর্তমান জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারীকে প্রকাশ্যে গালমন্দ ও নাজেহাল করে। এলাকায় আওয়ামী বলে বলিয়ান হয়ে অনেক নিরীহ মানুষ কে আবুল কালাম হত্যা,মুখতার হত্যা সহ রাজনৈতিক মামলা খুনের মামলায় জড়ান অনেক নিরীহ লোকজনকে।
২৪ জুলাইর অভ্যুথানে তথা জুলাই বিপ্লবের পর তারা সুর পাল্টাতে শুরু করে। আওয়ামীলীগ নেতা রুহুল আমিনের মার্কেটে ভাতিজা ফেরদৌস গংদের মোটা টাকায় আওয়ামী জাত পরিবর্তন করে তাঁতীদলের অফিস খুলে। ফ্যাসিবাদের চিহ্নিত দোসর বাপ চাচাদের রক্ষা করতে তাঁতী দলের আশ্রয় নেয়। আব্দুল বাচেত বাচছু এলাকায় একজন ভুমি দস্যু হিসাবে সুখ্যাতি আছে।
২০১৭ সালে উনছিপ্রাং আওয়ামীলীগের অফিস ভাংচুর, শেখ মুজিব ও শেখের বেটির ছবির অবমাননার মত নাটক সাজিয়ে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের প্রায় ২৭ টি পরিবার কে ২০১৭ সাল থেকে ২০২৫ পর্যন্ত একটি মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে তার স্বার্থ সিদ্ধ করে।
নেপথ্যে রয়েছে তার বড় ভাই আওয়ামীলীগ নেতা আজিজুররহমান ও রুহুল আমিন। রুহুল আমিন যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।
আজিজুররহমান হোয়াইক্যং ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি। তার অপর পুত্র কামরুল বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের উপজেলা নেতা। ইদানিং তাদের সকলের সাথে বিএনপির আব্দুল্লাহ গ্রুপের কতিপয় পাতি নেতাদের সাথে দহরমমহরম রয়েছে। বাচেত এর ভাতিজা ফেরদৌস
বিএনপি নেতা আব্দুল্লাহর মাধ্যমে আওয়ামী সৈনিক লীগ থেকে ইউনিয়ন তাঁতি দলের শাখা খুলে সাইনবোর্ড, ব্যানারে ছেয়ে যায় তাদের আস্তানা। রাতারাতি লীগ থেকে তাঁতীদলের অফিস খুলে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে চাঁদাবাজি,মাস্তানির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। আব্দুল বাচেত ও রুহুল এদের ব্যবহার করে পিট বাঁচাতে জামায়াত বিএনপির সঙ্গে গোপন আঁতাত শুরু করে এবং দলে ভিড়তে টাকার প্রস্তাব ও দেয়। শেষতক আওয়ামী ডেভিল আব্দুল বাচেত পুলিশের জালে ধরা পড়ে।
গত ২৩ জুলাই রাতে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির চৌকস অফিসার উপ-পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়া সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল বাচেত বাচ্ছু কে আটক করে। আব্দুল বাচেত কে আটকের খবরে এলাকাবাসী পুলিশ কে একদিকে সাধুবাদ অপরদিকে মিস্টি বিতরণ করেছে।
সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানা যায়,আওয়ামীলীগ নেতা ও বহু অপরাধের হুতা আব্দুল বাচেত কে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিতে বড় টাকার মিশন নিয়ে ঘুরছে একটি দালাল চক্র। টেকনাফের কতিপয় নেতানামধারীর ঘরে অফিসে ঘুরপাক খাচ্ছে তারা।
টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোঃ গিয়াসউদ্দিন বলেন, পুলিশ সু নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে।
#
Leave a Reply